তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চ থেকে সিপিএম-বিজেপি এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনা ও গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের অভিযোগ তুলে ২দিনের ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির সামনে এদিন বেলা ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধে পর্যন্ত ধর্না চলবে। সেখানেই এদিন সমাবেশ সেরে যোগ দেন অভিষেক। সেই মঞ্চ থেকেই ফের বাংলার বিরুদ্ধে বঞ্চনায় গর্জে ওঠে অভিষেক (Abhishek Banerjee)। একই সঙ্গে সিপিএমকেও তুলোধনা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সিপিএম বড় বড় কথা বলছে। ৮০ দশকে এরা মারকুটে, ২০১০-এ ব্যাকফুটে এখন চিরকুটে।“

আরও পড়ুন- জাকির-সাকেতের হেনস্থা নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

নাম না করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguli) তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি অভিষেকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, এই তৃণমূল দলটার সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া উচিত। “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রুল জারি করে ডেকে পাঠাতাম।“ এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রবল আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ”ভারতের সংবিধান অনুযায়ী নিজের মতামত জানানো যায়। সেখানে আমার মন্তব্যে যদি রুল জারি করে ডেকে পাঠানো হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিদের সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে না কেন!” অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, তাঁর আর রিজিজু-র জন্য আইন আলাদা হয় কী করে? নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আইন আলাদা হয় কী করে? ভারতের সংবিধান সেকথা বলে না – মন্তব্য অভিষেকের।

সিপিএমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তোলেন অভিষেক। প্রবল কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ”সিপিএম বড় বড় কথা বলছে। সিপিএম আশির দশকে ছিল মারকুটে, ২০০০-এ হিংসুটে, ২০১০-এ ব্যাকফুটে, এখন চিরকুটে। আমাদের ২০১১ সালে ১৮৫, ২০১৬ তে ২১২ আর একুশে ২১৫।”

বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ”যারা সততা নিয়ে কথা বলছে। মানুষের কাছে যাবেন বুক ঠুকে যাবেন। তৃণমূল একমাত্র দল, দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নেয়। বিশ্বজিৎ কুন্ডু পরিবারের সহ ৬৬ জনকে চাকরি দিয়েছে। সে এখনও বিজেপিতে বহাল। বিলকিস বানু কাণ্ডের খলনায়ককে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার সংবর্ধনা দিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে সততার পাঠ নেব।”