বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে বিরাট-বিস্ফোরণ! আর তাতেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৬৭ রানে জিতে নিল ভারত। ৮৭ বলে ১২টি চার ও একটি ছয় মেরে শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলি আউট হলেন ১১৩ রান করে। জোড়া হাফ সেঞ্চুরি রোহিত শর্মা ও শুভমন গিলের।

শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শিশিরের কথা রেখে। আশায় ছিলেন, ভেজা বল গ্রিপ করতে গিয়ে ভারতীয় বোলাররা সমস্যায় পড়বেন। কিন্তু তার আগেই বিরাটরা শনাকাদের মাথায় ৩৭৪ রানের বোঝা চাপিয়ে দেন। এই বিশাল রান তাড়া করতে নেমে অধিকাংশ দলের যা পরিণতি হত, শ্রীলঙ্কারও তাই হয়েছে। ব্যাট একা কুম্ভের মতো লড়লেন শনাকা। শেষ পর্যন্ত তিনি ৮৮ বলে ১০৮ রান করে নটআউট থাকেন। তবে তাতে শুধুই হারের ব্যবধান কমেছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য রান পেলেন পাথুম নিশঙ্কা (৮০ বলে ৭২) ও ধনঞ্জয় ডি’সিলভা (৪০ বলে ৪৭)। শেষ ওভারে শনাকাকে মানকাডিং করলেও, রোহিতের কথা নিজের আবেদন ফিরিয়ে নেন মহম্মদ শামি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে উমরান মালিক তিন উইকেট নিলেন। মহম্মদ সিরাজের শিকার দু’উইকেট।

চট্টগ্রামের পর গুয়াহাটি। টানা দু’টি একদিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন বিরাট। ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবার নতুন বছরের শুরুটা করলেন আরও একটা ঝকঝকে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। যা একদিনের ক্রিকেটে বিরাটের ৪৫ নম্বর। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৩তম। শচীন তেন্ডুলকরের ১০০ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির মাইলস্টোন ছোঁয়ার পথে আরও একটা ধাপ এগোলেন বিরাট। তবে এদিন ভাগ্যেরও সাহায্য পেয়েছেন কিং কোহলি। ব্যক্তিগত ৫২ ও ৮১ রানে দু-দু’বার তাঁর সহজ ক্যাচ ফসকান শ্রীলঙ্কার ফিল্ডাররা। কিন্তু তাতেও বিরাটের এই ইনিংসের মাহাত্ম্য এতটুকুও কমছে না।

আরও পড়ুন- মাল্টি লেভেল কার পার্কিং উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

ভারত যে স্কোরবোর্ডে রানের পাহাড় গড়তে চলেছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল শুরুতেই। প্রথম উইকেটে ঝড়ের গতিতে ১৪৩ রান যোগ করে ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন রোহিত ও শুভমন। মাঠে নামার আগে দু’জনেই অবশ্য চাপে ছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো ঈশান কিসানকে বসিয়ে শুভমনে আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। ৬০ বলে ৭০ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে সেই আস্থার মান রাখলেন শুভমন। রোহিতও দীর্ঘদিন পর নিজের চেনা ছন্দে। প্রথম বল থেকেই বিপক্ষ বোলারদের উপর রাজত্ব করেছেন হিটম্যান।

যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে আরও একটা সেঞ্চুরি বাঁধা ছিল রোহিতের। কিন্তু দাসুন মদুশঙ্কার অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে চালাতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনলেন! রোহিতের ৬৭ বলে ৮৩ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছয় দিয়ে।
রোহিত আউট হওয়ার পর শ্রেয়স আইয়ার ২৪ বলে ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। পাঁচে ব্যাট করতে নামা কে এল রাহুল করলেন ২৯ বলে ৩৯ রান। হার্দিক পাণ্ডিয়া (১৪) ব্যর্থ হলেও, ভারতের রানের গতি কখনও কমেনি।