শনিবার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে রাতে ফ্রান্সের মুখোমুখি ইংল্যান্ড। হাইভোল্টেজ ম্যাচের দিকে নজর ফুটবল দুনিয়ার। টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। দোহার আল বায়েত স্টেডিয়ামে মহারণের আগে কার্যত ফুটছে দুই শিবির। তার উপর দু’টি দলই ছুটছে বিশ্বকাপের আসরে।
ইংল্যান্ড তো টুর্নামেন্টে এখনও অপরাজিত। রুনি, বেকহ্যামদের আমলেও এতটা দুর্ভেদ্য মনে হয়নি ব্রিটিশদের। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে এসে মেগা দ্বৈরথের আগে একজনই ফোকাসে। ম্যাচের ভাগ্যও পেন্ডুলামের মতো দুলবে তাঁকে ঘিরে। তিনি এমবাপে। স্বপ্নের ফর্মে থাকা ২৩ বছরের ফরাসি স্ট্রাইকারের সঙ্গে লড়াই ইংল্যান্ড ডিফেন্সের। এমবাপের দৌড় আর শক্তিশালী শ্যুটিং আটকাতে সম্ভবত জোনাল মার্কিংয়ের রণনীতি তৈরি রাখছেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ম্যাচের আগের দিন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী কোচ দিদিয়ের দেশঁ এদিন বলে দিলেন, ‘‘আমাদের আরও অনেক খেলোয়াড় আছে। কিন্তু কিলিয়ান হচ্ছে কিলিয়ান। ইংল্যান্ড ওকে আটকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ও একাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’’ তবে দেশঁ এটাও শুনিয়ে রাখলেন, ফ্রান্স এমবাপের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল নয়।
আরও পড়ুন- একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ইশান
ইংল্যান্ড দলে কোনও দুর্বলতা দেখছেন না এমবাপে, জিরুদের কোচ। দেশঁর কথায়, ‘‘ওদের কাউন্টার অ্যাটাক খুব ভাল। গোল করার লোক অনেক। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। চারটে ম্যাচ দেখে আমার তো ইংল্যান্ডের কোনও দুর্বলতা চোখে পড়েনি।’’ মহারণের আগে প্রতিপক্ষ কোচের প্রতি সৌজন্য দেখিয়ে সাউথগেটের প্রশংসাও করেছেন দেশঁ।
মুখে ইংলিশ ডিফেন্ডাররা বলছেন, তাঁরা শুধু এমবাপেকে নিয়ে ভাবছেন না, ফ্রান্স দলটাকে ফোকাস করছেন। কিন্তু সেটা তো চাপ কাটাতে বাইরে বলছেন লুক শ’রা। বাঁ-দিক থেকে এমবাপেকে আটকাতে যাঁর উপর বড় দায়িত্ব থাকবে সেই ইংলিশ রাইট ব্যাক ওয়াকারকে এদিন রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন এমবাপের সতীর্থ ইউসুফ ফোফানা। বললেন, ‘‘কিলিয়ান একাই কাইল ওয়াকার ও ইংল্যান্ডকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ওয়াকার যদি জানে কিলিয়ানকে থামানোর উপায়, তাহলে ওর জন্য সেটা ভাল। শুভেচ্ছা রইল।’’