মহানগরীর হকাররা ফুটপাতের এক-তৃতীয়াংশ ব্যবহার করতে পারবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে টাউন ভেন্ডিং কমিটি, কলকাতা পুর নিগম এবং কলকাতা পুলিশের যৌথ বৈঠকে। এবার ফুটপাতের এক তৃতীয়াংশ জায়গায় অবস্থানকারী হকারদের প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার জন্য এবং দৃশ্য দূষণ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ জারি করল টাউন ভেন্ডিং কমিটি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কালো বা নীল প্লাস্টিকের পরিবর্তে অন্য কোনও আধুনিক ছাতা ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টাউন ভেন্ডিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনও ভেন্ডরকে রাস্তায় বা মেন থরোফেয়ার-এ কোনও অবস্থাতে দোকান বা ডালা নিয়ে বসতে দেওয়া যাবে না। এমনকি ফুটপাতে বসে মেইন থরোফেয়ার এর উপর খোদ্দেরকে জিনিসপত্রাদি দেওয়া নেওয়া করতে দেওয়া যাবে না। ফুটপাতের এক তৃতীয়াংশ অবস্থানকারী হকারদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কালো বা নীল প্লাস্টিকের পরিবর্তে অন্য কোনও আধুনিক ছাতা ব্যবহার করতে হবে। গড়িয়াহাট, ধর্মতলা, কলেজ স্ট্রিট, শ্যামবাজার, রবি ঠাকুরের মোড়, খিদিরপুর হেস্টিংস মোড়, ইত্যাদি বড় ক্রসিংগুলিতে ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও অস্থায়ী ভেন্ডরকে বসবার বা ডালা সাজাবার অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। শুধু তাই নয় নিয়ম লঙ্ঘন করলে কলকাতা পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত গত ১ নভেম্বর বৈঠকে শেষে টাউন ভেন্ডিং কমিটির তরফে শক্তিমান ঘোষ জানিয়েছিলেন, আগামী ৭ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত হাতিবাগান, নিউমার্কেট এবং গড়িয়াহাট মার্কেটকে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে ধরে সমীক্ষা করা হবে ক্যারেজ ওয়েতে। কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ এবং টাউন ভেন্ডিং কমিটির তরফে এই সমীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে কোনভাবেই হকারদের উচ্ছেদ করা যাবে না বলে দাবি জানিয়েছে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। ২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভা যে সমীক্ষা করেছিল, তাদেরকে কোনভাবেই তুলে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে হকারদের পুনর্বাসন দিতে হবে। তবে কোথায় পুনর্বাসন হবে, তা ঠিক করবে টাউন ভেন্ডিং কমিটি।

আরও পড়ুন: “আমরা সবাই নাগরিক, মানুষের অধিকারই শেষ কথা”