তরুণ মজুমদারের ছবিতে রবীন্দ্রনাথের গান এসেছে চিত্রনাট্যের অংশ হিসেবে। তিনি বলেছেন, ‘‘রবীন্দ্রসঙ্গীত হল সেই স্পর্শমণি, যার ছোঁয়ায় সবকিছু সোনা হয়ে যায়। আমার ছবিতে যদি কখনও সেই গান ঠিকমতো ব্যবহার করে থাকি, সে তো আমারই সৌভাগ্য।”

‘কাচের স্বর্গ’ ছবিতে প্রথম কবিগুরুর ব্যবহার করেন তরুণ মজুমদার। গানটি ছিল ‘দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়’।
তারপর ‘নিমন্ত্রণ’। ‘দূরে কোথাও দূরে দূরে’। গেয়েছিলেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রনাথের মোহর।

অন্য স্বাদের ছবি ‘কুহেলি’। শুরু থেকে শেষ রহস্যে মোড়া। অন্য গান ছাড়াও রবীন্দ্রসঙ্গীত আছে এই ছবিতে। আশা ভোঁসলের গাওয়া ‘মেঘের কোলে রোদ’ এবং হেমন্ত-লতার দ্বৈতকণ্ঠে ‘তুমি রবে নীরবে’। ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ ছবিতেও আছে রবীন্দ্রসঙ্গীত। ‘সখী ভাবনা কাহারে বলে’ গানটি লতার সঙ্গে গেয়েছিলেন কবিতা কৃষ্ণমূর্তি।

রবীন্দ্রসঙ্গীতের অসামান্য ব্যবহার দেখা যায় ‘দাদার কীর্তি’ ছবিতে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘চরণ ধরিতে’, ‘এই করেছ ভালো’, অরুন্ধতী হোমচৌধুরীর কণ্ঠে ‘বধূ কোন আলো’ আলাদা মাত্রা পায়।

‘ঠগিনী’ ছবিতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘যৌবন সরসী নীরে’। মৌলিক গানের পাশাপাশি ‘ভালবাসা ভালবাসা’য় আছে রবীন্দ্রসঙ্গীত। ‘তোমার কাছে এ বর মাগী’, ‘হার মানা হার পরাব তোমার গলে’, ‘মম চিত্তে’র প্রয়োগ ছিল অসাধারণ। এবার ‘পথভোলা’। ‘সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে’ এবং ‘আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি’ গান দুটি অসামান্য নাটকীয়তা সৃষ্টি করেছে।

আরও পড়ুন- জানুন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা

শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথের গান ব্যবহার করা হয়েছে ‘আলো’ ছবিতে। যেমন, ‘হারেরেরেরেরে’, ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার’, ‘শ্রাবণের ধারার মতো’। আছে কবিতাও। ‘দুই বিঘা জমি’র অংশবিশেষ।

‘ভালবাসার অনেক নাম’, ‘চাঁদের বাড়ি’ এবং ‘ভালবাসার বাড়ি’ ছবিতেও আছে এক বা একাধিক রবীন্দ্রসঙ্গীত।